Bajaj Pulsar N160: ভারতীয় বাজারে চার চাকার গাড়ির তুলনায় দুই চাকার গাড়ির চাহিদা অনেক বেশি। আসলে আমাদের দেশের বেশিরভাগ রাস্তাঘাট সরু হওয়ার কারণে চার চাকা চালাতে অসুবিধা হয়। এই সমস্যা আবার দুই চাকার ক্ষেত্রে দেখা যায় না। গ্রাহকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে Bajaj Pulsar N160 ভারতীয় বাজারে লঞ্চ হয়েছে।
Bajaj Pulsar N160 বাইকের ইঞ্জিন সম্পর্কে জেনে নিন
Bajaj Pulsar N160 বাইকে 164.82cc-র অয়েল কুল্ড সিঙ্গেল সিলিন্ডার 2 ভালভ ইঞ্জিন রয়েছে। যা 8,750 rpm-এ 15.8 bhp শক্তি ও 6,500 rpm -এ 14.7 Nm টর্ক উৎপাদন করে। এই বাইকের ইঞ্জিনে 5 স্পিড ট্রান্সমিশন সাপোর্ট রয়েছে। Bajaj কোম্পানি দাবি করছে, এই বাইকটি প্রতি লিটারে 55 কিলোমিটার থেকে 59 কিলোমিটার পর্যন্ত মাইলেজ দিতে সক্ষম।
Bajaj Pulsar N160 বাইকের ফিচার্স
এই বাইকে 17 ইঞ্চির টিউবলেস টায়ার রয়েছে। Bajaj Pulsar N160 বাইকে USB চার্জিং সাপোর্ট রয়েছে। এছাড়া এই মডেলে সেমি ডিজিটাল ইন্স্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার রয়েছে। এই ডিসপ্লেতে গিয়ার পজিশন ইন্ডিকেটর আর ক্লক দেখা যায়। Bajaj Pulsar N160 বাইকে ডুয়াল চ্যানেল অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম রয়েছে। আর সুরক্ষার জন্য চাকায় ডিস্ক ব্রেক দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এতে শার্প ট্যাঙ্ক এক্সটেনশন, LED টেইল ল্যাম্প, মাল্টি স্পোক অ্যালয় হুইল, আন্ডার বেলি কাওল, ট্যুইন LED DRL প্রোজেক্টর হেডল্যাম্প সহ বেশকিছু ফিচার্স রয়েছে।
Bajaj Pulsar N160 বাইকের লুক
লুকের দিক থেকে Bajaj Pulsar N160 আর Bajaj Pulsar N250-র মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। এই মডেলটি সরাসরি TVS Apache কে টক্কর দিচ্ছে। এই মডেলটির আকর্ষণীয় লুক আপনাদের ভালো লাগতে পারে।
Bajaj Pulsar N160 বাইকের দাম
এই মডেলটি আপনারা দুটি ভেরিয়েন্টে পাবেন সিঙ্গেল চ্যানেল অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম আর ডুয়াল চ্যানেল অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম। সিঙ্গেল চ্যানেল ABS ভেরিয়েন্টের এক্স শোরুম দাম 1.23 লাখ টাকা আর ডুয়াল চ্যানেল ABS ভেরিয়েন্টের এক্স শোরুম দাম 1.32 লাখ টাকা।