Bajaj Auto ভারতের স্বনামধন্য টু-হুইলার ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি। এই কোম্পানির বহু মডেল আপনারা ভারতের রাস্তায় দেখতে পেয়ে যাবেন। তার মধ্য থেকে ভারতীয় বাজারে Pulsar সব থেকে বেশি জনপ্রিয়। যুবকরা এই মডেল ভীষণ পছন্দ করেন। আমাদের দেশে এই মডেলের আলাদা আলাদা ভেরিয়েন্ট উপলব্ধ রয়েছে। বাজেট কম হওয়ার কারণে অনেকেই এই বাইক কিনতে পারেন না। এবার আপনাদের জন্য রয়েছে খুশির খবর।
Bajaj Pulsar NS200 আপনারা এবার সস্তায় কিনতে পারবেন। অর্ধেক দামে উপলব্ধ রয়েছে এই মডেলটি। দুর্দান্ত পারফর্মেন্সের পাশাপাশি দারুন মাইলেজ পেয়ে যাবেন এই বাইকে। এছাড়া অ্যাডভান্স ফিচার্স তো রয়েছেই। এই বাইকের দিকে একবার তাকালে আর চোখ ফেরাতে পারবেন না। কিভাবে সস্তায় কিনতে পারবেন Bajaj Pulsar NS200? জেনে নিন আজকের প্রতিবেদনে।
Bajaj Pulsar NS200-এর ইঞ্জিন ও পারফরমেন্স
এই বাইকে 199.8cc-র 4 স্ট্রোক সিঙ্গেল সিলিন্ডার ফুয়েল ইঞ্জেক্টটেড ইঞ্জিন রয়েছে। Bajaj Pulsar NS200-এর ইঞ্জিন 23.1 Ps শক্তি ও 18.1 Nm টর্ক উৎপাদন করতে পারে। এর সাথেই রয়েছে 6 স্পিড গিয়ার বক্স। এতে আপনারা স্মুথ গিয়ার শিফটিং অনুভব করতে পারবেন। শহরের ট্রাফিকের মধ্যে সহজেই এই বাইক চালিয়ে বেরিয়ে যেতে পারবেন আপনারা। এর পাশাপাশি হাইওয়েতেও দারুন পারফর্মেন্স দেয় এটি। এই বাইক প্রতি লিটারে 45 কিলোমিটার মাইলেজ দেয়।
Bajaj Pulsar NS200-এর আধুনিক ফিচার্স
ফিচারের দিক থেকে এই সেগমেন্টের অন্যান্য বাইককে হার মানিয়ে দিতে পারে Bajaj Pulsar NS200। এতে ডিজিটাল ইন্স্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার রয়েছে। বাইক চালানোর সময় আপনারা স্পিড, ফুয়েল লেভেল, ডিজিটাল ট্রিপ মিটার ও ডিজিটাল ওডোমিটার সহ বেশকিছু ফিচারের সুবিধা পেয়ে যাবেন। এর পাশাপাশি Bajaj Pulsar NS200 বাইকে LED DRL, LED হেডলাইট, ক্লিপ অন হ্যান্ডেলবার, স্প্লিট সিট ও LED টেইল লাইট রয়েছে।
Bajaj Pulsar NS200-এর ডিজাইন
এই বাইকের ডিজাইন বেশ আকর্ষণীয়। যাঁরা স্পোর্টি লুকের বাইক কিনতে চাইছেন, তাঁরা এই মডেলটি সম্পর্কে ভেবে দেখতে পারেন। Bajaj Pulsar NS200-এ মাস্কুলার ফুয়েল ট্যাঙ্ক, স্প্লিট সিট ও শার্প হেডলাইট রয়েছে। এছাড়া এতে ভাইব্রেন্ট কালার অপশন পেয়ে যাবেন।
Bajaj Pulsar NS200-এর দাম
Bajaj Pulsar NS200-এর এক্স শোরুম দাম 1 লাখ 58 হাজার 336 টাকা। তবে আপনারা মাত্র 70 হাজার টাকায় এটি কিনতে পারবেন। সম্প্রতি Olx-এ এই বাইকের 2018 সালের মডেল বিক্রি করার জন্য লিস্টিং করা হয়েছে। এই সেকেন্ড হ্যান্ড মডেলটি 35 হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত চালানো হয়েছে। কন্ডিশন ঠিক আছে। তবে আপনারা একবার যাচাই করে নেবেন।
